ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন দুটি আবাসিক হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন দুটি আবাসিক হল নির্মাণের সিদ্ধান্ত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুটি নতুন হল তৈরির যাতে নারী শিক্ষার্থীদের সংকট কমাতে পারে। যদিও নতুন আবাসন তৈরি করতে ২ বছর সময় লাগবে, অপর দিকে ছাত্র আন্দোলনে সময় জুলাই মাসে যারা সিট হারিয়েছে তাদের ১০ দিনের মধ্যে হলে বৈধ সিট দেওয়া হবে।
গতকাল (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপাচার্য এর সঙ্গে মেয়ে শিক্ষার্থীদের আলোচনা সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয় বলে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী অনন্যা কর। যদিও রবিবার সকল থেকে ঢাবির প্রঙ্গনে ‘শতভাগ আবাসিক ও প্রথমবর্ষ থেকে বৈধ সিট দেওয়ার’ দাবিতে ভিসি চত্বরে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদী অবস্থান ছিল।
অনন্যা কর বলেন, ‘ভিসি স্যার-সহ হলের প্রভোস্টদের আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা কোনও প্রতিনিধি নয়, বরং সব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ঢাবিতে নারীদের জন্য নতুন দুটি হল বানানোর প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেটা ভিসি স্যার এবং প্রভোস্ট স্যার ম্যাডামরাই সমস্যার জটিলতা দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে তৈরি করতে কমপক্ষে দেড় দুই বছর সময় লাগবে।
অর্থাৎ আশা করা যায়, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ভবিষ্যতে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবে তাদের আবাসন সমস্যা কিছু হলেও নিরসন হবে।
আলোচনায় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৭ থেকে ১০ দিন সময় নিয়েছে, উল্লেখ করে অনন্যা বলেন, ‘এই সময়ের মধ্যে হলের সিট কিছু বাড়ানো হবে। অন্তত জুলাই বিপ্লবে যারা সিট হারিয়েছেন ১০ দিনের মধ্যে তাদের ব্যবস্থা করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এতাবস্থায়, দুই-তিন দিনের মধ্যে তারা আপডেট দেবেন এবং যোগাযোগ রাখবেন আমাদের টিমের সঙ্গে। আজ রাতেই হলগুলোতে প্রভোস্টসহ আরও কয়েকজন শিক্ষক যাবেন, সিটের সামগ্রিক বিষয় পর্যবেক্ষণ করতে।’
অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের রুমগুলোতে বাড়তি বেড দিয়ে সিট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছেলে এবং মেয়ে উভয় হলে সমন্বয়ক এবং প্রতিনিধি দলের যে উৎপত্তি হয়েছে তা নিরসন করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
